নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে শ্রমিক নিহত
- আপলোড সময় : ২১-০৩-২০২৫ ০৯:৪৩:৪৪ পূর্বাহ্ন
- আপডেট সময় : ২১-০৩-২০২৫ ০৯:৪৩:৪৪ পূর্বাহ্ন

স্টাফ রিপোর্টার ::
সুনামগঞ্জ পৌর শহরের পুরাতন বাসস্টেশন এলাকায় নির্মাণাধীন ভবন থেকে পড়ে মনোয়ার হোসেন (২৫) নামে এক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। তিনি সদর উপজেলার ব্রাহ্মণগাও গ্রামের সাবির আলীর ছেলে। বৃহ¯পতিবার দুপুর ১টায় পানসী রেস্টুরেন্টের নির্মাণাধীন ভবনে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ভবনে কর্মরত শ্রমিক ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, পানসী রেস্টুরেন্টের উপরে একটি আবাসিক হোটেল নির্মাণের কাজ চলছে। নির্মাণাধীন ভবনে নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ তাদের।
পুলিশ জানায়, নির্মাণকাজ চলাকালীন মনোয়ার অসাবধানতাবশত নিচে পড়ে গুরুতর আহত হন। আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে কয়েকজন শ্রমিক সুনামগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবুল কালাম জানান, খবর পাওয়ার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এদিকে, কর্মক্ষেত্রে নিহত নির্মাণ শ্রমিক মনোয়ার হোসেনের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ এবং কর্মক্ষেত্রে যথাযথ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা না নেওয়ায় দায়ী ঠিকাদার ও মালিকের শাস্তি দাবি করেছে সুনামগঞ্জ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ। বাংলাদেশ ট্রেড ইউনিয়ন সংঘ সুনামগঞ্জ জেলা কমিটির সভাপতি সুখেন্দু তালুকদার মিন্টু ও সাধারণ স¤পাদক সাইফুল আলম ছদরুল এক যুক্ত বিবৃতিতে নিহত নির্মাণ শ্রমিক মনোয়ার হোসেনের পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ প্রদান করার দাবি জানান। নেতৃবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, রমজান মাসের তপ্ত দুপুরে ঠিকাদার ও মালিকের যথাযথ নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ না করার কারণে এমন তরতাজা প্রাণে মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছে বলে অভিযোগ করেন। পাঁচ তলা একটি ভবন নির্মাণ করতে শ্রমিকদের জন্য যতটা নিরাপত্তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার ছিল, নির্মাণাধীন ভবনে তা কতটুকু পালন করা হয়েছে সে বিষয়ে খতিয়ে দেখার জন্য প্রশাসনের প্রতি দাবি জানান নেতারা। একই সাথে নির্মাণাধীন ভবনের যথাযথ অনুমোদন ছিল কি-না যাচাই করা দরকার বলে দাবি করেন নেতারা। নিহত নির্মাণ শ্রমিক মনোয়ার হোসেনের পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে নেতারা বলেন, ঈদের আগ পরিবারের উপার্জনক্ষম এমন যুবকের করুণ মৃত্যুর শোক প্রকাশের ভাষা আমাদের জানা নেই। তারা বলেন, যে মা অপেক্ষায় ছিলেন ইফতারে আগে সন্তান বাসায় ফিরলে একসাথে ইফতার করবেন সেই মাকে কোন কিছু দিয়েই সান্ত¦না দেয়া সম্ভব না। নেতৃবৃন্দ আর একটা প্রাণও যাতে মালিক ও ঠিকাদারের অবহেলায় না ঝরে সে ব্যাপারে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ এবং শ্রমিকদের জন্য নিরাপদ কর্মক্ষেত্র নিশ্চিত করার দাবি জানান।
নিউজটি আপডেট করেছেন : SunamKantha
কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ